আমরা কেন ধনে পাতা খাবো ?

ধনে পাতার সালাদ, ভর্তা, জুসের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত সবজির স্বাদ বাড়াতে সারা বছরই ধনেপাতা বাজারে পাওয়া যায় তবে শীত কালে এর আধিক্য থাকে বেশি আসুন আজ জেনে নিই, গুনে ভরা উপকারী ও স্বাদবর্ধক ধনেপাতার কিছু অসাধারন গুনের কথা

) ধনেপাতায় পাওয়া যায় ভিটামিন এ, সি ও ফলিক এ্যাসিড ফলিক এ্যাসিড ত্বক ও চুলের ক্ষয় রোধ করে মুখের ভিতরের নরম অংশগুলোকে রক্ষা করে ক্যান্সার থেকে ধনেপাতার ভিটামিন এ রাতকানা রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে

) আমাদের শরীরে এলডিএল নামের একটি ক্ষতিকর কোলেস্ট্ররেল আছে এই কোলেস্টরেল শিরা উপশিরায় দেয়াল সৃষ্টি করে হার্টের রক্ত চলাচলে বাঁধা দেয় ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশাংকা থাকে ধনেপাতা ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমিয়ে উপকারী এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্ত পরিষ্কার রাখে।

৩) ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’। এই ভিটামিন ‘কে’ হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে ক্ষত স্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে। ধনেপাতায় রয়েছে আলজিমারস নামের একটি উপাদান, যা মস্তিকের রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। নিয়মিত ধনেপাতা খেলে শিতকালিন ঠোঁট – ত্বক ফাটা, জ্বরজ্বর ভাব থেকে রক্ষা করে। দেহের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দমনেও ধনেপাতা খুবই উপকারী। এছাড়াও –

হজমে সাহায্য করে ও পাকস্থলীর প্রদাহ রোধ করে।
বাত থেকে মুক্ত রাখে।
মুত্রথলির প্রদাহ রোধ করে।
অন্ত্রের গ্যাস সৃষ্টি থেকে মুক্ত রাখে।
রক্তে লৌহের কতই ভাল উৎস।
ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।
ধনেপাতা শরীরকে ঠান্ডা করে। এলার্জি, আমবাত, ফোঁড়া ও তীব্র চুলকানি হলে ধনেপাতা পেস্ট করে লাগালে ভাল কাজ করে।
যে সকল নারী খুব বেশি মাসিক প্রবাহে ভোগেন তাদেরও জন্যও এটি ভাল কাজ দেবে।

কিভাবে সহজে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন ?

আপনারা হয়তো বিভিন্ন সূত্র থেকে জানতে পেরেছেন যে, একটি মশার কয়েলে ১০০ টি সিগারেটের সমান ক্ষতিকর। তাহলে চিন্তার বিষয় কিভাবে এই ক্ষতি মশার যন্ত্রনায় সহজ সমাধান থেকে বাঁচা যায়? আসুন দেখা যাক কিভাবে এই মশার যন্ত্রানা থেকে বাঁচতে পারি?

- একটি প্লেটের মধ্যে ১টি বা ২টি লেবুকে সমান ভাবে ২ ভাগে কেটে নিন। তারপর কিছু লবঙ্গ এর মধ্যে গেথে দিয়ে যেখানে মশার উপদ্রব বেশি সেখানে রেখে দিন।

- লবঙ্গ প্রাকৃতিক রেপেলেন্ট হিসাবে কাজ করে মশাকে আপনার কাছে থেকে দূরে রাখবে।

কফি পানের উপকারিতা কি ?

শীতের আলসেমিতে মাখা সকালে গরম গরম কফির কাপে এক চুমুক সকালটাই বদলে দেয়। শীত মানে কফি ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারিনা। কনকনে ঠান্ডায় সকাল – সন্ধ্যা কফির গরম মগে নিজের হাত সেঁকে নেওয়া। শিতকালে শরীর গরম রাখতে কফির জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু জানেন কি এক কাপ গরম কফি আপনাকে দিতে পারে অনেকগুলো রোগের হাত থেকে নিস্তার। আসুন দেখা যাক এই কফি কি কি রোগের উপকার করে।

১) ডায়াবেটিস কন্ট্রোলঃ
বিভিন্ন হার্ট ডিজিজ আর ডায়াবেটিস অনেকটা কমে যায় যদি নিয়মিত অল্প পরিমাণে কফি পান করেন। তবে মাথায় রাখবেন কফিটি হতে হবে চিনি ছাড়া।

২) স্কিন ক্যান্সারের হাত থেকে বাচায়ঃ
নিয়মিত কফি পান স্কিন ক্যান্সার হওয়ার আশংকা অনেকটা কমে যায়। সেই সাথে দেহের অন্য অংশেও ক্যান্সারের আশংকা কমে যায়।

৩) পার্কিনসন্স ডিজিজের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়ঃ
দিনে কয়েক কাপ কফি খেলে পার্কিনসন্স ডিজিজ হওয়ার আশংকা অনেকাংশে কমে যায়।

৪) অ্যালঝাইমারস হতে দেয় নাঃ
বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই রোগটি দেখা দেয়। একটি সমিক্ষায় বলছে এই সময় যদি কফি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে দেন তাহলে অ্যালঝাইমারস হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

৫) স্ট্রোস কমায়ঃ
যারা কাজের স্ট্রেসের কারণে রাতে ভাল করে ঘুমাতে পারেন না তারা শোয়ার আগে কিছুক্ষন অন্তত কফির গন্ধ শুঁকুন। কফির অ্যারোমা নিমেষে আপনার স্ট্রোস কমিয়ে দিবে।

৬) কোলন সার্জারি তাড়াতাড়ি সারিয়ে তোলেঃ
কোলন সার্জারি হলে পেট পরিষ্কার রাখা খুব জরুরী। রোজ কফি খেলে আপনার পেট পরিষ্কার থাকবে আর তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন

আমড়া খাওয়ার উপকারিতা কি ?

সরিষা বাটা, মরিচ গুঁড়া, লবণ আর একটু চিনি দিয়ে তৈরি আমড়া মাখা দেখলে কার না জিভে পানি আসে? আর এটা খেতে যেন অমৃত। সবাই এব্যাপারে একমত না হলেও অনেকেই এটা স্বীকার করবেন। আমড়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর।

আমড়ায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এছাড়াও অন্যান্য নানান খাদ্য উপাদান আমড়াতে বর্তমান। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ার মধ্যে আছে, ৯১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম, লৌহ ৩ দশমিক মিলিগ্রাম, শর্করা ১৫ গ্রাম। এছাড়াও ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন বি-২, আমিষ থায়ামিন ইত্যাদি আমড়ার মধ্যে বিদ্যমান।

আমড়াতে যে পরিমাণ খাদ্য উপাদান আছে তা নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার সাধন করে। এতে আছে ভিটামিন সি, যা ত্বকের রোগ প্রতিরোধ করে। ত্বক ও চুলকে সুন্দর করে তোলে। এছাড়া দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে থাকে এই ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাধতেও সাহায্য করে। আমড়াতে আছে প্রচুর আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আমড়া খেলে পাকস্থলী সুস্থ্য থাকে। আমড়া মুখের আরুচি দূর করে। রক্তের ক্ষতিকর উপাদান কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে ষ্ট্রোক ও হার্টের রোগ অনেকাংশে কমে যায়। আমড়াতে আছে অ্যান্টিওক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি পিত্ত ও কফনাশক। এমনিভাবে নানা দিক থেকে আমড়া আমাদের জন্য ভীষণ উপকারী।

আমড়া খাওয়া যায় কাঁচা ও রান্না করে। কাঁচা আমড়া সরিষা বাটা, মরিচ গুড়া, গোল মরিচের গুঁড়া, লবণ ইত্যাদি দিয়ে মাখিয়ে খাওয়া যায়। রান্নাও হয় অনেক রকম। সবচেয়ে মজাদার রান্না হচ্ছে আমড়ার খাট্রা। নারিকেল দুধ দিয়ে আমড়ার খাট্রা খেতে অসাধারন লাগে। আবার কাঁচ কলা, চিংড়ি মাছ ও আমড়ার দিয়ে রান্না করা যায় তরকারী, যা শরীরের জন্য উপকারী আর মজাদারও বটে। এছাড়া এটি চাটনি করেও খাওয়া যায়। ডিম ও আমড়া রান্না খেতেও দারুণ। এভাবে যার যেমন রুচি সে তেমন ভাবে আমড়া খেতে পারেন। তবে খাদ্যমান পুরোপুরি পেতে হলে কাঁচা খাওয়া সবচেয়ে ভাল।

নাক ডাকা ডাকি বন্ধ করার উপায় কি ?

নাক ডাকার সমস্যা আপনার কাছে তেমন উদ্বেগের বিষয় না হলেও এটি কিন্তু একটি বিরক্তিকর সমস্যা এটি আপনার হার্টের রোগ থাকার লক্ষণ হতে পারে যিনি নাক ডাকেন তিনি না বুঝলেও পাশে থাকা মানুষটিকে খুব বেগ পেতে হয় তাই নাক ডাকা সমস্যাকে অবহেলা করা ঠিক নয় সমস্যাটি দূর করার উপায় বের করতে হবে ঘরোয়া ভাবে খুব সহজে এবং বেশ সুস্বাদু উপায়ে এই সমস্যার সুরাহা করা সম্ভব তাহলে চলুন দেখে নিই কিভাবে ইহা করা যায়

) হলুদের চাঃ
হলুদ প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এটি নাক ডাকা সমস্যার সমাধানে খুব কার্যকারি

২ কাপ পরিমাণ পানি চুলায় বসিয়ে জ্বাল দিতে থাকুন।
এতে ১ চা চামচ পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা দিয়ে দিন (গুঁড়ো হলেও চলবে)। এবার আবার জ্বাল দিতে থাকুন।
যখন পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণ হয়ে যাবে তখন তা নামিয়ে ছেঁকে ফেলুন।
এবার ১/২ চা চামচ মধু ও ২/৩ ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন।
প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পান করে নিবেন। দেখবেন নাক ডাকার সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

২) গাজর – আপেলের জুসঃ
এটি শুনতে সাধারণ মনে হলেও এই জুসে রয়েছে শ্বাসনালী কিছুটা চওড়া ও শ্বাসনালীর মিঊকাস দ্রুত নিঃসরণের ক্ষমতা যা নাক ডাকা থেকে মুক্তি দিতে ভাল ভূমিকা রাখে।

২ টি আপেল ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে তা বেলেন্ডারে বেন্ড করে নিন।
এবার ২ টি গাজর কেটে বেন্ড করুন।
এরপর একটি লেবুর ১/৪ অংশ কেটে রস চেপে এতে দিয়ে দিন এবং ১ চা চামচ আদা কুচি দিয়ে বেন্ড করে নিন।
কিছুটা পানি দিয়ে বেশ ভালো করে বেন্ড করে নিয়ে ছেঁকে নিন।
এই পানীয়টি প্রতিদিন পান করুন। নাক ডাকার সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

যে সব খাবারে আপনার ঘুম বৃদ্ধি করবে

জীবনের বিভিন্ন সময় একটু – আধটু অনিদ্রায় ভোগেননি এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম। রাতে ভাল ঘুম না হলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে দিনটাই বরবাদ হয়ে যায়। তবে খাবার খেয়ে এই সমস্যা থেকে বের হওয়া যায়। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে রাতে ভাল ঘুম হয়। আসুন জেনে নিই ভাল ঘুমের জন্য কি খাবার খাবেন?

১) কলা
এক গবেষণায় দেখা গেছে যে রাতে ঘুমানোর আগে কলা খেলে ভালো ঘুম হয়। এমনকি রাতে হেঁচকি ও দম বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিও থাকে না। কলায় আছে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম, মিনারেল যেটা শরীরকে প্রশান্ত করে। ফলে রাতে ভাল ঘুম হয়। তাই রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে স্লিপিং পিল না খেয়ে একটি কলা খান।

২) চেরি
খাদ্য ও পুষ্টি গবেষকগন গবেষণায় দেখেছেন চেরিতে আছে মেলাটোনিন। যা কিনা ঘুম আসতে সাহায্য করে। যাদের অনিদ্রা রোগ আছে তাদের জন্য আদর্শ খাবার চেরিতাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে টপাটপ কয়েকটা চেরি খেয়ে ঘুমাতে যান।

৩) তিসির বীজ
তিসির বীজে রয়েছে উচ্চমাত্রার সেরোটোনিন ও ওমেগা-৩ যা কিনা ঘুম উদ্রেককারী। ওমেগা-৩ মানসিক চাপ ও চিন্তামুক্ত করে ভাল ঘুমাতে সাহায্য করে। যাদের অনিদ্রা আছে তারা রাতে ঘুমানোর আগে তিসির বীজ দিয়ে সরবত বানিয়ে খেতে পারেন।

৪) দুগ্ধজাত খাবার
গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি রয়েছে তাদের ঘুমের সমস্যা হয়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস দুধ কিংবা এক কাপ দই খেয়ে ঘুমাতে যান।

৫) যব
যব ট্রাইপোফ্যানের ভাল উৎস। ট্রাইপোটোফ্যান শরীরকে প্রশান্ত করে ভাল ঘুম আসতে সাহায্য করে। তাই রাতে ঘুমানোর আগে দুধের সাথে মিশিয়ে এক বাটি যব খান। এরপর নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে পড়ুন।

কিভাবে মাছ এবং সবজি থেকে ফরমালিন মুক্ত করবেন ?

মাছ থেকে ফরমালিন মুক্ত করার উপায়ঃ

) মাছ পানিতে ১ ঘ্ন্টা ভিজিয়ে রাখলে ফরমানিলের মাত্রা শতকরা ৬১ ভাগ কমে যায়

) লবনাক্ত পানিতে ফরমালিন যুক্ত মাছ ১ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ৯০ ভাগ ফরমালিনের মাত্রা কমে যায়

) প্রথমে চাউল ধোয়া পানিতে ও পরে সাধারন পানিতে ফরমালিন যুক্ত মাছ ধুয়ে নিলে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগ ফরমালিন দূর হয়

) সবচাইতে ভাল পদ্ধতি হলো ভিনেগার/সিরকা ও পানির মিশ্রনে (পানিতে ১০% আয়তন অনুযায়ী) ১৫ মিনিট মাছ ভিজিয়ে রাখলে শতকরা প্রায় ১০০ ভাগই ফরমালিন দূর হয়

সবজি থেকে ফরমালিন দূর করার উপায়ঃ

#) খাওয়ার আগে ১০ মিনিট গরম লবণ পানিতে ফল ও সবজি ভিজিয়ে রাখুন, ফরমালিন মুক্ত হয়ে যাবে

জেনে নিন পেঁয়াজের কিছু সরল ব্যবহার

আমরা পেঁয়াজ রান্নার কাজে লাগাই কিন্তু রান্না ছাড়াও পেঁয়াজ দিয়ে আর কি কি উপকার হয় তা নিচে দেওয়া হ লো

) পেঁয়াজের রস চুলে দিলে তা উকুন নাশক হিসাবে কাজ করবে, পাশাপাশি চুল পড়া কমাতেও সাহায্য করবে

) দৈনিক পেঁয়াজ খেলে তা আপনার যৌন সমস্যাগুলো দূর করবে

) লাল পেঁয়াজ মাসিক রোগ সংশোধন করতে সাহায্য করে, মাসিক শুরু হ ওয়ার কিছু দিন আগে লাল পেঁয়াজ খান উপকার পাবেন

) কারো নাক দিয়ে রক্ত পড়লে কাঁচা পেঁয়াজ কেটে তার ঘ্রান নিন রক্ত পড়া কমে যাবে

) যাদের ঘুম কম হয় তারা প্রতিদিন ১টা করে পেঁয়াজ খেলে ভাল ঘুম হবে

) পোকামাকড় কামড়ালে সেখানে পেঁয়াজের রস লাগায়ে দিন সেরে যাবে

) সাদা পেঁয়াজ piles থেকে রক্ত ঝরা বন্ধ করে

) যাদের হজমে সমস্যা আছে তারা পেঁয়াজ খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে

)   পেঁয়াজ শরীর থেকে অবাঞ্ছিত ক্লেস্টেরল সরাতে সাহায্য করে

১০) দৈনিক লালা পেঁয়াজ খেলে আপনার করোনারি হার্ট রোগ থেকে আপনাকে বাঁচাবে

১১) পেঁয়াজ শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে

১২) পেঁয়াজ জয়েন্টের ব্যাথা দূর করে

১৩) শরীরে কোনো লাল দাগ থাকলে সেখানে হলুদের সাথে পেঁয়াজের রস মিশ্রিত করে সেখানে ব্যবহার করুন, সেরে যাবে

১৪) পেঁয়াজ দাঁতের ব্যাথা কমাতে সাহায্য করে

১৫) আপনার শিশুর কৃমির সমস্যা থাকলে এক চামচ পেঁয়াজের রস খেতে দিন উপকার পাবেন

১৬) পেঁয়াজ মেমরি ও স্নায়ুর উন্নতি বৃদ্ধি করে

১৭) পেঁয়াজ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়ে রাখে

১৮) প্রতিদিন চিনি দিয়ে পেঁয়াজ খেলে তা শিশুদের উচ্চতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে

পানের নানাবিধ উপকার সম্পর্কে জানেন কি ?

এতোদিন যারা পানের খারাপ দিক জেনে এসেছেন তাদেরকে আজ জানাচ্ছি পানের উপকারী দিক গুলো। পড়ে দেখুন অবাক হয়ে যাবেন যে পানের এতগুলো ভালো দিক আছে –

১) যারা প্রস্রাবের সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য পান ঔষধ হিসাবে কাজ করে। পানের রস শরীরে জমে থাকা বিষাক্ত প্রস্রাবের সাথে বের করে আনে।

২) যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন তারাও নিয়মিত পান খেলে উপকার পাবেন।

৩) পানের রস মাড়ির রক্তপাত বন্ধ করতে ভালো ভুমিকা রাখে।

৪) যারা দীর্ঘ দিন ধরে কাশির সমস্যায় ভোগেন তারা ঔষধ হিসাবে পানের রস খেতে পারেন।

৫) বিভিন্ন ধরনের ঘা শুকাতে পানের রস বেশ কার্যকর।

৬) যারা দীর্ঘ দিন ধরে পিঠের ব্যথায় ভুগছেন তারা পান বেটে অল্প তেলে মিশিয়ে পিঠে লাগালে উপকার পাবেন।

৭) মাথা ব্যথা নিরসনেও পান উপকারী।

৮) যারা ধুমপান ছাড়ার চেষ্টা করছেন তাদের জন্য পান বিকল্প উপাদান হিসাবে কাজ করে।

৯) স্নায়ু সুস্থ রাখতেও বেশ সহায়ক পান।

১০)  ব্রনের চিকিৎসায় ও পানের ব্যবহার দেখা যায়।

১১) যে সব মায়েরা সন্তান কে দুধ খাওয়াচ্ছেন তারা যদি নিয়মিত পান খান তাহলে দুধ বৃদ্ধি পাবে।

আসুন জেনে নিই তেজপাতার ৭ টি ভেষজ গুনাগুন

তেজপাতা এক প্রকারের উদ্ভিদ, যার পাতা মসলা হিসাবে রান্নায় ব্যবহার করা হয়। সাধারণত এর বৈজ্ঞানিক নামঃ Cinnamomum tamala এই গাছটি মূলত ভারত, লেপাল, ভুটান ও চীন ইত্যাদি দেশে অধিক জন্মে

কেবল কি খাবারের সুগন্ধি বাড়াতেই এর ব্যবহার ? নাকি আছে আর ও কিছু গুন ? আসুন জেনে নিই তেজপাতার এমন ৭ টি ব্যবহার যেগুলো আপনি আগে জানতেন না

তেজপাতা ভিটামিনস ও মিনারেলসে ভরপুর এতে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও পটাসিয়াম রয়েছে এছাড়া ১০০ গ্রাম তেজপাতা থেকে ২৩ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৪৩ মিলিগ্রাম আয়রন, .৭ মিলিগ্রাম জিংক, .৮ মিলিগ্রাম সিলেনিয়াম পাওয়া যায়।

১) ঘামাচি সারায় তেজপাতাঃ ঘামাচি দূর করার জন্য তেজপাতা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, তারপর পাটায় মিহি করে বাটে নিন। এই তাজপাতা বাটা শরীরে মেখে ঘণ্টা খানেক রাখুন। তারপর গোসল করে ফেলুন। কোন রকম সাবান ব্যাবহার করবেন না। কয়েকবার ব্যাবহার করলেই ঘামাচি একদম সেরে যাবে।

২) চোখ ওঠা উপশমঃ তেজপাতা পানিতে ফুটিয়ে নিন । সেই পানি ঠান্ডা করে চোখ ধুতে ব্যবহার করুন । চোখ ওঠা দ্রুত আরোগ্য হবে । সকালে ও বিকালে দুই বেলা দেবেন ।

৩) ফোঁড়া সারাতেও কার্যকরীঃ ফোঁড়া সারানোর জন্য তেজপাতা বেটে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করুন । দ্রুত সেরে যাবে ।

৪) দূর্বলতা দূর করেঃ শারিরিকভাবে দূর্বল ও রোগা মানুষদের জন্য তেজপাতা দারুণ কার্যকারি । কয়েকটা পাতা থেঁতলে ২ কাপ গরম পানিতে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন । এরপর ছেঁকে নিয়ে পান করুন । ২ বার করে টানা ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে শক্তি ও চেহারায় লাবণ্য ফিরে পাবেন ।

৫) গলা ভাংগা দ্রুত সারাবেঃ চটজলদি ভাংগা গলা ঠিক করতেও তেজপাতার বিকল্প নেই । ৭ গ্রাম তেজপাতা ৪ কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ২ কাপ করে নিন । এরপর ঐ পানি দিয়ে গড় গড়া করুন । গলা ভাংগা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে

৬) মাড়ির ক্ষতের চিকিৎসায় দারুণ উপকারীঃ মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়ে ? তেজপাতা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন । তারপর সেটা দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজুন । মাড়ির ক্ষত সেরে যাবে ।

৭) অরুচি দূর করেঃ তেজপাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে নিয়মিত কুলি করুন, অরুচি ও মুখের তিতো ভাব চলে যাবে ।

চা – কফি কি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক ?

অফিসে অনেককেই রাত জেগে কাজ করতে হয়,আর তাই আপনাকে জাগিয়ে রাখার জন্য এবং কাজে মন সংযোগ বাড়ানোর দায়িত্ব পালন করে চা অথবা কফি, কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো জানিনা এই চা, কফির মধ্যে থাকে ক্যাফেন বলে একটি পদার্থ, আর এই পদার্থটির জন্যই আপনি জেগে থাকেন এবং কাজ করার শক্তি পান, কিন্তু জানেন কি এই পদার্থটি আপনার শরীরে রীতিমত কত ক্ষতি করে ? অল্প পরিমান খেলে কোন ক্ষতি না করলেও, বেশি পরিমান খেলে এটি শরীরের পক্ষে খুব ক্ষতিকারক হয় । এই ক্যাফেন খুব বেশি পরিমানে শরীরে গেলে আপনার মাথা যন্ত্রনা, বিষন্নতা, বার বার প্রসাব করা এই সব সমস্যায় ভুগবেন । এমনকি আপনার বমি বমি ভাব, শারিরিক জোর কমে যেতে পারে ।

এক গবেষনায় দেখা গেছে যে, যারা দিনে তিন কাপের বেশি কফি পান করেন তাদের রাতের ঘুমেও ভীষন প্রভাব পড়ে, যারা মা হতে চলেছেন তাদের শরীরের দূর্বলতা, এমনকি তার বাচ্চার ক্ষতির কারন এই চা বা কফি ।

তাই যদি এই অতিরিক্ত পরিমানে কফি না খেয়ে একটু গ্রীন টি খেতে পারেন। তাহলে আপনার শরীর সুস্থ থাকবে আর আপনি শারীরিক অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।