আসুন জেনে নেই শশার প্যাক তৈরির নিয়মাবলী

যুগে যুগে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে এসেছে নানা উপকরণ। এর মধ্যে শসা অন্যতম। আসুন জেনে নেই শসার প্যাক তৈরির নিয়মাবলী-
১) তৈলাক্ত ত্বক নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগেন অনেকে। তারা ফেসওয়াস দিয়ে মুখ ধোয়ার পর শশার রস, আপেল সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং এলভেরা জেল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। এতে সমস্যা দূর হবে।
২) একটি শশা ব্লেন্ডারে ভালো মতো ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরী করে ২ চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে।
৩) চোখের ডার্ক সার্কেল কমাতে শশা বেশ কার্যকর। শশা স্লাইস করে কেটে অথবা তুলার মধ্যে শশার রস লাগিয়ে তুলা চোখের উপর ২০ মিনিট রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে ডার্ক সার্কেল কমবে।
৪) ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে বাইরে থেকে এসে মুখ ধুয়ে শুধু শশার রস লাগান। এটি সান বার্ন দূর করবে।
৫) বয়সের ছাপ লুকাতে ২ টেবিল চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং লেবুর রসের সাথে ২ চামচ শশা বাটা এবং ২ টি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালো মতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের মরা কোষ, কালো ভাব দূর করে টানটান এবং সুন্দর রাখে।
৬) ব্রণের সমস্যা দূর করতে ২ চা চামচ শশার রসের সঙ্গে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। এটি মুখে ভালো মতো লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণ কমে যাবে।
শসায় রূপচর্চায় দারুণ দক্ষতা পাশাপাশি রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। সব ধরণের ত্বকেই এটি উপকারী ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

জেনে নিন চুল ও ত্বকের যত্নে পেঁপের ব্যবহার !

মিষ্টি পেঁপে খেতে অনেকেই ভালবাসেন এতে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যেগুলো চুল এবং ত্বকের যত্ন করতে বেশ উপকারী জেনে নিন চুল এবং ত্বকের যত্নে ঠিক কিভাবে কাজ করে এই বারমেসে মিষ্টি ফলটি
ত্বকের যত্নে পেঁপের কিছু গুণ
. ত্বকে পুষ্টি যোগায় -- মিষ্টি পাকা পেঁপেতে ভিটামিন এবং পাপেইন এনজাইম রয়েছে যা ত্বকের চামড়া শুকিয়ে যাওয়া থেকে রোধ করে এবং প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন প্রদান করে থাকে। এর ফলে ত্বকের আয়ু তুলানামূলক ভাবে বাড়িয়ে দেয়। এটি ত্বকের আর্দ্রতাও ফিরিয়ে আনে। এর জন্য এক ফালি পাকা পেঁপের সাথে তিন টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট পরে ঠাণ্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন
. ব্রণের দাগ দূর করে -- ব্রণর সমস্যা প্রায় সবারই থাকে। এসব ব্রণর কারণে মুখে খুব জেদি দাগ তৈরি হয়,যা কিছুতেই মিটতে চায় না। এই বাজে দাগগুলো নিরাময় করতে পারে এই ফলটি। মুখের অন্যান্য যেকোনো দাগ যেমন মেচেতা, ফুস্কুড়ির দাগও খুব সহজেই দূর করে দিতে পারে
. উজ্জ্বলতা আনে -- মুখের বিভিন্ন দাগ দূর করার পাশাপাশি পেঁপে ফলটি মুখের উজ্জ্বলতাও ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে
চুলের যত্নেও পারদর্শী পেঁপে
. চুল পড়া রোধ করে -- পাকা পেঁপে চুলে নিয়ম করে ব্যবহার করলে চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে দেয়
. খুসকি দূর করে -- চুলে খুসকি হলে চুলের গোঁড়া দুর্বল হয়ে পড়ে। সপ্তাহে দুই দিন অর্ধেক কাপ দুধ বা টক দই-এর সঙ্গে পাকা পেঁপে মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই চুলের খুসকি দূর হবে
. প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে -- মিনারেল, ভিটামিন এবং এনজাইমে ভরপুর পাকা পেঁপে চুলে মাখলে এটি প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করে। চুলকে উজ্জ্বল আর মসৃণ করে তোলে

ত্বকের ক্ষেত্রে দই কি উপকার করে ?

ত্বকের টান দূর করাঃ
ত্বকের টান দূর করতে হলে এই প্যাকটি অনেক কাজ করে। দই, লেমন জুস, ময়দা, বেসন সবগুলো মিক্সড করে টান ত্বকে দিতে হবে। ১৫ মিনিট রেখে দেওয়ার পর মুখ পরিস্কার করে ফেলতে হবে।
ত্বকের উজ্জলতার ক্ষেত্রেঃ
এই প্যাক ব্যাবহার করার ফলে ত্বকের উজ্জলতা ফিরে আসবে। মুসর ডাল, দই, অরেঞ্জ টুকরো করে প্রথমে ব্লেন্দ করতে হবে এরপর এর সাথে মধু মিক্সড করে ত্বকের মধ্যে ব্যাবহার করতে হবে। ১৫ মিনিট পর্যন্ত রেখে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।
ব্রণ প্রতিকারেঃ
যাদের মুখ তৈলাক্ত তাদের ব্রণের সমস্যা বেশি দেখা দেয়। আর ব্রণ মুখের লাবন্নতাকে নষ্ট করে দেয়। ব্রণ থেকে প্রতিকার পেতে হলে এই প্যাকটি ব্যাবহার করতে হবে। দই এর সাথে হলুদ, সামান্য চিনি এবং সান্দাল উড পাউদার অথবা চন্দন মিক্সড করে ব্রণের জায়গাগুলোতে দিতে হবে। অল্প কতক্ষণ মাসাজ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি সপ্তাহে এক বার ব্যাবহার করলে আপনার মুখের ব্রণ খুব তাড়াতাড়ি চলে যাবে।
এই প্যাকগুলো আমরা ঘরে বসেই করতে পারি এর জন্য প্রয়োজন শুধু একটু সময় আর ধৈর্য।

ঘরোয়া ভাবে ঝকঝকে সাদা দাঁত পাবার উপায় কি ?


পান-সিগারেট খেলে কেবল নয়, আরও নানান কারনে দাঁতের সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই সব সময় ডেন্টিসের কাছে যাওয়া হয়ে উঠে না তাই বলে কি লালচে থাকবে দাঁত? একদম নয়! রইলো ঘরোয়া ভাবে দাঁত সাদা করার সহজ উপায় আর এতে আপনার সহায়ক হবে বেকিং পাউডার ও লেবু!

বেকিং পাউডার নিন কয়েক চামচ তার সাথে প্রয়োজন মত লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবার এই পেস্ট দিয়ে ব্রাশ করে ফেলুন দাঁত দেখুন তো, প্রথম ব্যবহারে কেমন ঝকঝকে হয়ে উঠেছে! নিয়মিত ব্যবহারে দাঁত আর হলদে হবার সুযোগই পাবে না

কিভাবে পিঠের কালো ছোপ দূর করবেন ?

১) পিঠের কালো ছোপ তুলতে ময়দা ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে পিঠে দশ মিনিট ধরে ঘষবেন। এটা নিয়মিত করলে পিঠের ছোপ উঠে যায়।
২) পিঠের কালো দাগ সারাতে দারুচিনি গুঁড়া এবং লেবুর রস মিশিয়ে পিঠে লাগান। ইচ্ছা হলে চন্দন বাটাও ব্যবহার করতে পারেন।
৩) সাধারণত আমরা ফেসিয়াল স্ক্রাব করে থাকি। ফেসিয়াল স্ক্রাবের মতো বডি স্ক্রাব শুরু করে দিন। দেখবেন এর ফলে দারুন উপকার পাবেন।
৪) চালের গুঁড়ার সঙ্গে দই মিশিয়ে বাড়িতে তৈরি করে নিতে পারেন হোম মেইড বডি স্ক্রাব। বডি স্ক্রাবটি লম্বা হাতলের ব্রাশে লাগিয়ে পিঠে ব্রাশ করুন। ডেড সেল তো ঝরে পড়বেই ত্বক হবে উজ্জ্বল ও পরিষ্কার।
৫) ঘাড় ও পিঠের কালো ছোপ দূর করতে মসুর ডাল বাটা, দই এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে লাগিয়ে রাখতে হবে। আধা ঘণ্টা পর আলতো করে ঘষে তুলে ফেলতে হবে।
৬) গোসলের আগে হলুদ গুঁড়া, দই ১ চা চামচ, বেসন ১ চা চামচ একত্রে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে পিঠে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এরপর গোসল করুন। সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন।
৭) রোদে পুড়ে পিঠে কালো ছোপ ছোপ দাগ পড়ে। এই ছোপ তুলতে প্রতিদিন শুধু মধু দাগের ওপর লাগাতে পারেন। এতে দাগ কমবে।
৮) পিঠের যে টুকু অংশ দেখা যায় ততটুকু তেও সান স্ক্রিন লাগান। না হলে কালো হয়ে যাবে রোদে পুরে।