রোদে পোড়া, অতিরিক্ত আগুনের তাপে দাগ কিংবা মেছতার দাগ দূর করতে যা করবেন

রোদে পোড়া, অতিরিক্ত আগুনের তাপে দাগ কিংবা মেছতার দাগ দূর করতে যা করবেন

) নিয়মিত লেবুর রস আর মধু মুখে দিতে পারেন

) গুড়া দুধ ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন

) অ্যালোভেরা জেল ও আলুর পেস্ট নিয়মিত মুখে লাগাতে পারেন

) আমন্ড অয়েল ও মধু মুখে লাগিয়ে হালকা করে ঘষুন এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে

) কমলার খোসার গুড়া ও কাচা দুধ এর মিশ্রণ দাগ দূর করতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন

) মেছতার জায়গায় লেবুর রস, সামান্য ভিনেগার ব্যবহার করা যেতে পারে কেউ চাইলে অল্প পরিমাণে পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

৭) লেবুর রস, মধু ও কাঁচা পেঁপে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। দাগ কমাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন।

- তবে বেশি দাগ হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এছাড়া আপনার ত্বকের উপযোগী উপাদান ব্যবহার করুন। বাহিরে বেরুনোর আগে সানস্ক্রিণ লোশন লাগাতে ভুলবেন না। প্রসাধন সামগ্রী দেখে শুনে কিনা উচিত। সেটি যেন ভাল মানের হয় তা খেয়াল রাখবেন।

প্রাকৃতিক উপায়ে চুলের আগা ফাটা রোধ করুন

চুলের আগা ফাটা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই চুলের আগা ফেটে দু ভাগ হয়ে থাকে এতে চুল বিশ্রী দেখায় চুলের আগা ফাটে বলে চুলও বড় হয় না কিন্তু ঘরে বসেই প্রাকৃতিক উপায়ে এই চুলের আগা ফাটা সমস্যা দূর করতে পারেন খুব সহজে কিছু প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহারে দেখে নিন চুলের আগা ফাটা থেকে মুক্তির উপায়

তেল ম্যাসাজ করুন
চুলের আগা ফাটা রোধ সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল কিংবা বাদাম তেল চুলের জন্য অনেক ভালো একটি উপাদান। এই তিনটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ৩ থেকে ৪ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

ডিমের হেয়ার মাস্ক
১ টি ডিমের কুসুম, ৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর মৃদু শ্যম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক সপ্তাহে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন। চুলে আগা ফাটা দূর হবে।

অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কয়েকটি কারন ও প্রতিকার

অনিয়মিত ঋতুস্রাব নারীদের নিকট একটি পরিচিত বিষয় বিশেষ করে কিশোরীদের মাঝে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয় এ নিয়ে কিশোরীরা খুবই দুশ্চিন্তায় ভুগেন নিয়মিত ঋতু চক্র প্রতিমাসে দুই থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়ে থাকে বেশিরভাগ নারী প্রতিমাসের ২৮ তারিখের সাত দিন পূর্বে বা সাত দিন পরে ঋতুস্রাবের মুখোমুখি হয় প্রতি ঋতুস্রাবে গড় রক্তক্ষরনের মাত্রা ৬০ থেকে ১০০ মিলিগ্রাম এর অধিক রক্তক্ষরন হলে সেটাকে অনিয়মিত ঋতুস্রাব বলে নিচে অনিয়মিত ঋতুস্রাবের কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হ ল

) গর্ভধারণজনিত অনিয়মিত ঋতুস্রাব ঋতুস্রাব সমস্যা শুরু হলে প্রথমে গর্ভধারন টেস্ট ( প্রেগনেন্সি টেস্ট ) করা দরকার নির্ধারিত সময়ের পর রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে গর্ভপাতের আশংকা বা ইক্টোপিক ( জরায়ুর বাইরে গর্ভধারণ ) গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে এ ক্ষেত্রে প্রেগন্যান্সি টেস্ট বা গর্ভধারণ পরীক্ষা জরুরী

) গর্ভনিরোধ বড়ি খাওয়ার ফলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে 

) সন্তান জন্মদানের সময় ইঞ্জেকশন গ্রহণ করলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে

) শারীরিক ওজন বাড়লে বা কমলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি থাইরোয়েড রোগ এবং পলিস্টিক ওভারিয়ান রোগের সম্ভাবনা বাড়ায় আবার শারীরিক ওজন কমে গেলে তা ক্যান্সার, টিউবারকোলোসিস রোগ বাড়াতে পারে এছাড়া শারীরিক ওজনের এই তারতাম্য থাইরোয়েড, অনিয়মিত ঋতু চক্র এবং ঘুমের মাত্রা বাড়ায় তখন হরমোন জনিত এই রোগের চিকিৎসার প্রয়োজন হয়

) আবেগীয় মানসিক চাপের ( পরীক্ষা সক্রান্ত, বৈবাহিক সমস্যা, নিকট আত্বীয় হারানো ) ফলেও অনিয়মিত ঋতুস্রাব হতে পারে

অনিয়মিত ঋতুস্রাব যেভাবে প্রতিরোধ করবেন

) প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন এবং নিজেকে ঠান্ডা রাখুন

) বিবাহিত রা জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি গ্রহণ বন্ধ করবেন না কেননা এই সময়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি থেকে যায় যদি আপনি জন্ম নিয়ন্ত্রনের বড়ি নিয়মিত গ্রহণ করেন, সেক্ষেত্রে এটা আপনার ঋতুস্রাব বন্ধ হবার পর ও চালিয়ে যেতে হবে

) শারীরিক এবং মানসিক চাপ কমিয়ে ফেলুন নিয়মিত শরীর চর্চা, সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন এবং ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার করুন

) প্রতিদিন ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ করে ( ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট ) এ রকম ঔষধ সেবন করুন

ঘরোয়া উপাদানে সেরে নিন আপনার রুপচর্চা

) যাদের স্বাভাবিক অথবা তৈলাক্ত ত্বক তারা মসুরের ডাল বাটা, চন্দন ও টকদই দিয়ে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপর মুখ ধুয়ে দেখুন, নিজেই চমকে উঠবেন

) অনেকেরই ব্ল্যাকহেডস হওয়ার প্রবণতা লক্ষ করা যায় দারুচিনি গুঁড়া হাফ চামচ ও এক চামচ ময়দার একটা প্যাক বানিয়ে নাকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এমনি এমনি ব্ল্যাকহডস বেরিয়ে আসবে এটা দিলে একটু জ্বলে এবং স্কিন লাল হয়ে যায় কিন্তু এতে ভয়ের কিছু নেই

) যাদের বয়স ২৫ এর উপরে তারা কমলা লেবুর খোসার মাস্ক ব্যাবহার করতে পারেন কমলা লেবু বয়সের ছাপ দূর করে ব্ল্যাকহেডস এবং হোয়াইটহেডসও চলে যায়

৪) যাদের মুখে ব্রন আছে তারা নিম পাতার প্যাক ব্যাবহার করতে পারেন। বাজারে অনেক ধরনের নিম পাতার প্যাক পাওয়া যায়। বেছে নিন পছন্দ মতন।

৫) একদিন পর পর বাসায় স্ক্রাবিং করতে পারেন। এতে ত্বকের গভীর হতে ময়লা বের হয়ে আসবে। চিনি, লেবু, চালের গুঁড়ো সামান্য মধুর সাথে মেশালে খুব ভাল ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসাবে কাজ করে। সারা শরীরেই ব্যাবহার করতে পারবেন।

৬) বাইরে থেকে ফিরে মুখের ও হাত পায়ের পোড়া দাগ দূর করার জন্য টক দই লাগিয়ে নিন।

৭) টমেটো এবং গাজরের রস মুখের বয়সের ছাপ দূর করার জন্য অনেক উপকারী। আবার রোদে পোড়া ভাব কমাতেও কাজে আসে।

আসুন জেনে নিই কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য তথ্য

) অতিরিক্ত মানসিক চাপ, শরীরের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে

) গর্ভাবস্থায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন ইজি ডেলিভারি নিশ্চিত করুন

) খাবার আগে ও পায়খানার পর আবশ্যই সাবান বা ছাই দিয়ে ভাল করে হাত পরিষ্কার করুন খালি পায়ে পায়খানায় যাবেন না

) আর্সেনিক মুক্ত নিরাপদ পানি পান করুন

) আপনার চারিপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং দুষন মুক্ত রাখুন

) খোলা বাসি, পচা, মাচি বসা, ভেজাল খাবার খাবেন না

) ফরমালিন, কারবাইড সহ অন্যান্য বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাবার খাবেন না ফল এবং মাছ থেকে ফরমালিন মুক্ত করে নিন

) তাড়াতাড়ি ঘুমনোর ও তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস করুন

) রাতের খাবার খাওয়ার পর পরই ঘুমাবেন না রাতে খাবার খাওয়ার পর ৩০ মিনিট বিশ্রাম করুন তারপর কিছুক্ষন হাটা চলা করে ঘুমাতে যান

১০) ভাত খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে ও ভাত খাওয়ার আধা ঘণ্টা পরে পানি পান করুন খাবার খাওয়ার মাঝে পানি না খাওয়ার অভ্যাস করুন

১১) প্রতিদিন ভোর বেলায় ১ ঘণ্টা দৌড়ানো বা হাটার অভ্যাস করুন

১২) আপনার শরীরের যত্ন নিন, অপরকে যত্ন নিতে উৎসাহিত করুন

১৩) সকালে ঘুম থেকে উঠার পর এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ করুন

১৪) আপনার দৈনন্দিন জীবনে একটু হলেও চিত্ত বিনোদনের অভ্যাস করুন

১৫) খাবার ভালো করে চিবিয়ে খাবার অভ্যাস করুন এবং চিন্তা মুক্ত হয়ে খাবার খান

১৬) প্রখর রোদে কোন ধরনের কাজ করা স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্তক ক্ষতিকর

১৭) প্রতিদিন তাজা ফল মূল খাওয়ার অভ্যাস করুন ভাত অথবা রুটির সাথে সমপরিমাণ তরকারি খাওয়ার অভ্যাস করুন

বেশি সময় মোবাইল ফোন, কম্পিঊটার ব্যবহার করবেন না।
ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
জনসচেতনতায়
টুনাটুনির পেজের পক্ষ থেকে সাজিন ও সোয়েব

দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষিত রাখার উপায় কি

দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বোঝা আমাদের সবচাইতে বড় বাজে অভ্যাস। দাঁত আমাদের দেহ ও স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী তা আমরা দাঁত হারাতে শুরু করলেই বুঝে থাকি। কিন্তু ততোক্ষণে অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়। তাই দাঁতের যত্নে সচেতন হওয়া উচিত আগে থেকেই। ছোট বড় সকলেরই গড়ে তোলা উচিত দাঁতের যত্নে কিছু ভাল আভ্যাস।

১) প্রতিদিন সকালে ঘুম থেক উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে টুথপেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে ওপর থেকে নিচে এবং নিচে থেকে ওপরের দিকে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে নিবেন এবং দাঁতের ভিতর দিকেও ভালো করে মাজবেন।

২) যেসব জায়গা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব নয় সেসব জায়গায় ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করবেন এবং মাড়ির সুরক্ষায় জিহবাও পরিষ্কার করে নিবেন।

৩) বিশেষ বিশেষ খাবার যেমন- পাঊরুটি, বিস্কুট, কেক, চকলেট-লজেন্স, আইসক্রিম ইত্যাদি খাওয়ার পর খুব ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করে নিবেন। তা না হলে ক্যাভিটি হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

৪) ফ্লোরাইড যুক্ত যে কোনো টুথপেস্ট দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। দু-তিন মাস পর পর টুথপেস্টের ব্র্যান্ড বদল করে নেওয়া ভাল, কারন বিভিন্ন পেস্টে বিভিন্ন ধরনের উপাদান থাকে।

৫) কয়লা, গুল, টুথ পাউডার, ছাই, মাটি, গাছের ডাল ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। এতে দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সুরক্ষা হয় না।

৬) ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। কারন এতে মুখ ও দাঁতের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও তামাক পাতা ও পান সুপারিও খাবেন না। এতে দাঁত ক্ষয় হয়ে যায় বেশ দ্রুত।

৭) হাঁ করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা দূর করতে হবে। কারন হাঁ করে ঘুমানোর ফলে মুখ ও দাঁতের রোগ বেড়ে যায়।

৮) ঘুমানোর আগে কখনো বিস্কুট, কেক, চকলেট – লজেন্স খাবেন না। কারন এগুলো সহজে দাঁতে আটকে যায়। আর খেলেও ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করে ফেলবেন। নতুবা দাঁতের ক্ষতি হয় অনেক বেশি।

৯) আঁশযুক্ত ও শক্ত খাবার যেমন- গাজর, পেয়ারা, আমড়া, ইক্ষু, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল ইত্যাদি দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এগুলো চোয়ালের স্বাভাবিক গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

১০) ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দাঁত ও মাড়ির জন্য অত্যন্ত উপকারী। লেবু, আমলকী, কমলা, টমেটো ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য ভিটামিন থাকে। তাই দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাদ্য তালিকায় এই সকল খাবার রাখুন।

হেলে পড়া ব্রেস্ট কিভাবে টাইট করবেন?


ব্রেস্ট বড় করার উপায় পোস্টা পাবলিস্ট করার পর অনেকে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন হেলে পড়া ব্রেস্ট কিভাবে স্বাভাবিক করা যায়? আসুন দেখে নিন ঝুলে যাওয়া ব্রেস্ট প্রাকৃতিক উপায়ে টাইট করার পদ্ধতি

ব্রেস্ট টাইট রাখার উপায়ঃ
তুলসির পাতার রস ব্রেস্টে লাগালে ব্রেস্ট কখন ঝুলে / হেলে পড়বে না

হেলে পড়া ব্রেস্ট টাইট করার উপায়ঃ
তিসির তেল, ডালিমের খোসা ও শাপলা ফুলের বীজ একসাথে বেটে গরম করে ব্রেস্টে লাগালে হেলে পড়া ব্রেস্ট যুবতীর ন্যায় হয়ে যাবে

ত্বকের দাগ দূর করার অতি সহজ কয়েকটি উপায় !

ব্রণ কিংবা দূর্ঘটনাবশত ত্বকে অনেক সময় দাগ হয়ে যায়। একবার দাগ পড়ে গেলে সেই দাগ সহজে যেতে চায় না। অনেক দিন চলে গেলেও পুরোপুরি যেতে চায় না দাগ গুলো। ত্বকে দাগ পড়ে থাকলে দেখতেও খারাপ দেখায়। অনেক সময়ে মেকআপ করেও ঢাকা যায় না দাগ গুলো।

তাই ত্বকে দাগ থেকে মুক্তি পাতে অনেকেই ছুটে যান চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অথবা বিঊটি পার্লারে। কেউ কেউ আবার লেজারও করিয়ে ফেলেন। কিন্তু ত্বকের দাগ থেকে মুক্তি পাওয়ার আছে কিছু সহজ প্রাকৃতিক উপায়। এসব পদ্ধতি ব্যবহার করলে এক রাতের মধ্যে দাগ থেকে মুক্তি না পেলেও ধীরে ধীরে দাগ মিলিয়ে যায় পুরোপুরি। আসুন জেনে নেয়া যাক ত্বকের দাগ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার ৪ টি প্রাকৃতিক উপায়।

লেবুর রস
লেবুর রসে আছে আলফা হাইড্রোক্সি এসিড যা ত্বকের মৃত কোষ সরিয়ে দিতে সহায়তা করে এবং নতুন কোষ গঠন করে। ফলে ত্বকের দাগ হালকা হয়ে যায়। এছাড়াও লেবু হলো প্রাকৃতিক ব্লিচ যা দাগ হালকা করে দেয়।

ব্যবহারঃ প্রথমে দাগ ও তার চারপাশের ত্বক পরিষ্কার করে নিন। ত্বক পানি দিয়ে ভিজিয়ে নিন। তুলায় ১ চা চামচ লেবুর রস নিন। ত্বকের যে স্থানে দাগ আছে সেখানে তুলা দিয়ে চেপে লেবুর রস লাগিয়ে নিন। অতঃপর ১০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

মধু
দাগ দূর করতে মধু অতুলনীয়। এছাড়াও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। তাই কাঁটা ছেড়াতেও মধু লাগালে ভালো হয়ে যায়।

ব্যবহারঃ ২ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। ৩ মিনিট ম্যাসাজ করুন। একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে মুখের উপর রাখুন। টাওয়েল ঠান্ডা হয়ে গেলে মুখ মুছে ধুয়ে ফেলুন।

অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই ও কে আছে। এছাড়াও আলিভ অয়েলের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট দাগকে হালকা করে দেয়।

ব্যবহারঃ ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। প্রায় ৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন। ১০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন।

শসা
রুপচর্চায় শসা ব্যবহার করা খুবই কার্যকরী। শসা বেশ সস্তা এবং সহজলভ্য বলে ব্যবহার করাও বেশ সহজ এবং শসা ত্বকে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে না।

ব্যবহারঃ শসা ছিলে এর বীজ ফেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। শসার মিশ্রণটি দাগে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে প্রতিদিন ব্যবহার করুন।

গান শুনুন এক ঘণ্টার বেশি নয়

নিজের শ্রবনশক্তি ঠিক রাখতে চাইলে দিনে এক ঘণ্টার বেশি গান শুনবেন না। কারন দিনে এক ঘণ্টার বেশি গান শুনলে আপনার শ্রবনশক্তির মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এ কথা জানিয়েছে।

বেশি সময় ধরে গান শোনা এবং উচ্চ শব্দে গান শোনার কারনে সারা বিশ্বে ১১০ কোটি টিনএজার এবং তরুণ প্রাপ্ত বয়স্ক চিরদিনের জন্য শ্রবনশক্তি হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে WHO জানিয়েছে।

সিডি প্লেয়ার, কনসার্ট এবং বার-এ যে বিকট শব্দে গান শোনা হয় তা শরীরের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরুপ বলে জানিয়েছে জাতি সংঘের এ সংস্থাটি।

WHO এর হিসাবে ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সী ৪ কোটি ৩০ লাখ মানুষ এরই মধ্যে শ্রবণ শক্তি হারিয়েছেন এবং এ সংখ্যা ভবিষতে আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

WHO বলছেন, ধনী ও মধ্যম আয়ের দেশ গুলো ১২ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের অর্ধেকই নিজের সিডি প্লেয়ারে মাত্রাতিরিক্ত জোরে গান শুনে থাকেন।

তাই আমরা যারা সবসময় গান শুনি বিশেষ করে মোবাইলে হেডফোন লাগিয়ে যারা বেশি সাউন্ড দিয়ে গান শুনি তাদেরকে এ ব্যপারে সচেতন হওয়া অবশ্যই উচিত।

চুলের ক্ষতি এড়াতে কি করবেন ?

কোঁকড়া চুলকে যেমন সিল্কি করে তোলা যায়, তেমনি হেয়ার জেল, স্প্রে, রোলার ইত্যাদি ব্যবহার করে সিল্কি চুলকেও কোকড়ায় রূপান্তরিত করা যায়। চুল খুব বেশি কোঁকড়া না হলে, অর্থাৎ ঢেউ খেলানো হলে আয়রনিং- এর মাধ্যমে চুল সাময়িক ভাবে সোজা করা যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে আয়রনের তাপ মাত্রায় চুলের সব ময়েশ্চার চলে যায়। ফলে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও ভঙ্গুর। নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য অনেকে বদলে ফেলেন চুলের রঙও। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে তৈরি এসব হেয়ার কালার চুলকে সুন্দর করে শুধু বাহ্যিকভাবে, ভিতরে ভিতরে ক্ষতি করে ভীষণ।

চুলের প্রাকৃতিক ধরণ কৃতিম উপায়ে বদলে ফেললে যতই সুন্দর দেখাক না কেন, তা আপনার চুলকে করে ক্ষতিগ্রস্ত। কখনো কখনো এই সাময়িক সৌন্দর্য আপনার চুলের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই চুল নিয়ে যাই করুন না কেন, চুলের ক্ষতি এড়াতে মেনে চলুন কিছু বিষয়

১) চুলকে নরম ও চকচকে রাখতে সাহায্য করে কিঊটিকল। এই প্রোটিনের আস্তর চুলের ওপরে মাছের আঁশের মতো স্তরে স্তরে থাকে। এই আস্তর সমান্তরাল থাকে, চুলে হালকা দোলা লাগলেই এই আস্তরণ ফুলে উঠে এবং চুল চকচক করে উঠে। হেয়ার কালারের প্রথম কাজ হলো অ্যামোনিইয়ার মাধ্যমে এই আস্তরের ওঠানামা বন্ধ করা যাতে চুলের একেবারে গোড়া পর্যন্ত রং পৌঁছায়। অ্যামোনিয়ার কারনে চুলের কিউটিকল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং উজ্জলতা হারায়। তাই যতটা সম্ভব কম হেয়ার কালার ব্যবহার করুন।

২) ব্লো ড্রয়ার বা হিটের ব্যবহার চুল থেকে প্রোটিন বের করে দেয়। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। এমনকি চুল শুকানোর জন্য মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখলেও চুলের প্রাকৃতিক সুরক্ষা বা কিউটিকল সহজে ঝরে পড়ে। ফলে চুল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চুল স্বাভাবিক ভাবে শুকানোর চেষ্টা করুন।

৩) অনেকে চুলে শাইনি এফেক্টের জন্য সেরাম বা শাইন স্প্রে ব্যবহার করেন। এতে রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যা চুলকে ভঙ্গুর করে তোলে। এছাড়া এসব জিনিস অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল চিটচিটে হয়ে পড়ে।

৪) অতিরিক্ত স্টাইলিং বা বার বার চুলকে কোকড়া-সোজা করতে থাকলে চুল তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়। চুলের কিউটিকলও খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর চুলে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

৫) ড্যামেজড চুলে স্টাইল করলে তা আরও ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই আগে চুলের যত্ন নিন, তারপর অন্য কিছু করার কথা ভাবুন।

৬) চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অন্যতম কারন হলো চুল এলোমেলো হয়ে জড়িয়ে যাওয়া। ঘুমের সময় চুল হালকা করে বেঁধে ঘুমান। চুল বেঁধে ঘুমাতে অস্বস্তি লাগলে সিল্ক বা স্যাটিনের তৈরি নরম, মসৃণ বালিশে ঘুমান। এতে চুলে বেশি ঘষা লাগবে না।