এই গরমের কি পোশাক পরবেন!

ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তরুণদের অন্যসব অভ্যাসের পাশাপাশি পোশাক-আশাকেও নানা পরিবর্তন আসে। গরমের কথা মাথায় রেখে তারা চান আরামদায়ক ও ফ্যাশনেবল পোশাক পরতে।
আরামদায়ক পোশাকের জন্য কেউ কেউ ঢুঁ মারেন ফ্যাশন হাউসগুলোতে। কেউ আবার টেইলারের দোকান থেকে তৈরি করে নিচ্ছেন সুতি কাপড়ের পোশাক।
প্রকৃত অর্থে কেমন হওয়া উচিত গরমের পোশাক? এ নিয়ে প্রায়ই দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভুগতে হয় তরুণদের। সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রথম শর্ত হচ্ছে এই গরমে অবশ্যই কৃত্রিম সব পোশাক এড়িয়ে চলতে হবে।
পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক পরলে একদিক থেকে যেমন গরম কম লাগবে, অন্যদিকে আরামও লাগবে। ফলে স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করা যাবে। পাতলা তাঁত ও খাদি কাপড়ের পোশাকও এ সময় পরা যায়। গরম এলেই সুতি কাপড়ের প্রসঙ্গ চলে আসে।
পোশাক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মেয়েদের উচিত এই ধরনটিকে প্রাধান্য দেয়া। গরমের পোশাকের ক্ষেত্রে সাদা, হালকা গোলাপি, হালকা বেগুনি, হালকা নীল, বাদামি, আকাশি, হালকা হলুদ, ধূসরসহ হালকা রঙের পোশাকগুলো প্রাধান্য দেয়া উচিত। গরমে সাদা ও অন্যান্য হালকা রঙের পোশাক শুধু তাপ শোষণই করে না, সেই সঙ্গে চোখকে দেয় প্রশান্তি।
পুরুষ অথবা শিশুদের পোশাকের রং হালকা ধাঁচের হওয়া উচিত। সাদা, ঘিয়ে, ধূসর, হালকা নীল, বাদামি, গাঢ়
বাদামি, অফ হোয়াইটসহ সব রঙেরই কাপড় পাওয়া যায়। সরাসরি প্যান্টের মতো কোমর হলে মাপে সমস্যা হতে পারে।
তাই প্যান্ট আকৃতির কোমরের সঙ্গে ইলাস্টিক লাগানো থাকলে মাপটা সঠিক হয়। থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টের আকৃতি কেমন হবে তা নির্ভর করছে আপনার রুচির ওপর। যদি হাঁটু পর্যন্ত চান তা-ও পাবেন, আবার হাঁটু থেকে সামান্য নিচে চাইলে সেটাও পেতে পারেন। ইচ্ছা করলে থ্রি-কোয়ার্টার বা ফোর- কোয়ার্টারের মধ্যে মোবাইল পকেট রাখতে পারেন।
এতে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিতে সুবিধা হবে। সুতির মধ্যে থ্রি-কোয়ার্টার প্যান্টগুলো গরমের জন্য অনেক ভালো। এছাড়া পাতলা ধরনের গেঞ্জি কাপড়ের প্যান্টগুলোতেও অনেক আরাম পাওয়া যাবে।
জিনস ধরনের পাতলা কিছু কাপড় রয়েছে, সেগুলোর তৈরি করা থ্রি-কোয়ার্টার বা ফোর-কোয়ার্টার এবং হাফ প্যান্টগুলো খুব ভালো কাজে দেয় এই গরমে।
এছাড়া গ্যাবার্ডিনের তৈরি করা হালকা ধরনের মাল্টিপারপাস পকেটওয়ালা মোবাইল প্যান্টগুলো গরমে প্রায় প্রতিটি পোশাকের দোকানেই পাওয়া যায়।
সুতি কাপড়ের সঙ্গে লিনেন, দুপিয়ান, ভয়েল, মসলিন, চিকেন ও তাতের কাপড় গরমের জন্য বেশ উপযোগী। উৎসবে পরতে পারেন কৃত্রিম মসলিন বা পাতলা চোষা কাতান।

দেশিয় ফ্যাশন হাউসগুলো বেশিরভাগই সুতি কাপড় দিয়ে তাদের পোশাক তৈরি করে থাকেন। কাজেই আপনার পছন্দসই পোশাক কিনে নিতে পারেন যে কোনো ফ্যাশন হাউস থেকে।