অনেক দিন আগে থেকেই নিমগাছের
পাতা, তেল ও কাণ্ডসহ
নানা অংশ চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নানা রোগের উপশমের অদ্ভুত ক্ষমতা রয়েছে এ
গাছের। এ লেখায় থাকছে তেমনই কিছু ব্যবহার।
ম্যালেরিয়া
নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে
ম্যালেরিয়া প্রশমিত হয়। পানি বা এলকোহল মিশ্রিত নিম পাতার নির্যাস ব্যবহারে একই
ধরনের ফল পাওয়া যায়।
মানসিক চাপ ও অশান্তি
অল্প পরিমাণ নিম পাতার নির্যাস
খেলে মানসিক চাপ ও মানসিক অশান্তি কমে যায়
এইডস
নিম গাছের বাকল হতে আহরিত
নির্যাস এইডস ভাইরাসকে মারতে সক্ষম। নিম পাতার নির্যাস অথবা পুরু পাতা অথবা নিম
পাতার চা পান করলে এইডস উপশম হয়।
আলসার
নিম পাতার নির্যাস ও নিম বীজ হতে
নিম্বিডিন নির্যাস খেলে পেপটিক ও ডিওডেনাল আলসার উপশম হয়।
ব্রণ
নিম পাতা পিষ্ট করে মধুর সঙ্গে
মিশিয়ে প্রলেপ দিলে ব্রণ সেরে যায়।
জন্ডিস
২৫-৩০ ফোঁটা নিম পাতার রস একটু
মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে জন্ডিস আরোগ্য হয়।
বহুমূত্র রোগ
প্রতিদিন ১ টেবিল চামচ নিম পাতার
রস সকালে খালি পেটে ৩ মাস খেলে ডায়বেটিস আরগ্য হয়। প্রতিদিন সকালে ১০টি নিম পাতা
গুড়া বা চিবিয়ে সেবন করলে ডায়বেটিস ভালো হয়। নিম পাতার রস খেলে ৩০-৭০শতাংশ ইনসুলিন
নেয়ার প্রবণতা কমে যায়।
বসন্ত
কাঁচা হলুদের সঙ্গে নিম পাতা
বেটে বসন্তের গুটিতে দিলে গুটি দ্রুত শুকিয়ে যায়।
রাতকানা
নিম ফুল ভাজা খেলে রাতকানা উপশম
হয়।
চোখের ব্যথা
নিম পাতা সামান্য শুস্ক আদা ও
সৈন্ধব লবণ একত্রে পেষ্ট করে সামান্য গরম করে একটি পরিস্কার পাতলা কাপড়ে লাগিয়ে তা
দ্বারা চোখ ঢেকে দিলে চোখের স্ফীতি ও ব্যথা সেরে যায়।
মাথাধরা
নিম তেল মাখলে মাথা ধরা কমে যায়।
ক্যান্সার
নিম তেল, বাকল ও পাতার নির্যাস ব্যবহারে
ক্যান্সার-টিউমার, স্কীন
ক্যান্সার প্রভৃতি ভালো হয়।
উকুন
নিমের ফুল বেটে মাথায় মাখলে উকুন
মরে যায়।
হৃদরোগ
নিম পাতার নির্যাস খেলে হৃদরোগে
উপকার পাওয়া যায়। নিম নির্যাস ব্লাড প্রেসার ও ক্লোরেস্টোরল কমায়। রক্ত পাতলা করে, হার্টবিট কমায়।
কৃমি নিরসন
৩-৪গ্রাম নিম বাকল চূর্ণ সামান্য
পরিমাণ সৈন্ধব লবণসহ সকালে খালি পেটে সেবন করে গেলে কৃমির উপদ্রব হতে রক্ষা পাওয়া
যায়। নিয়মিত এক সপ্তাহ সেবন করে যেতে হবে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে ১-২ গ্রাম মাত্রায়
সেব্য।
রক্ত পরিস্কার ও চর্ম রোগ
কাঁচা নিম পাতা ১০ গ্রাম ২ কাপ
পানিতে জ্বাল করে ১ (এক) কাপ অবশিষ্ট থাকতে ছেঁকে নিয়ে প্রয়োজন মতো চিনি মিশিযে
সেব্য।
উল্লেখিত নিয়মে প্রত্যহ ২-৩ বার, নিয়মিত ১-২ মাস সেবন করে যেতে
হবে।
দাঁতের যত্ন
কচি নিম ডাল দিয়ে দাঁত মাজলে
দাঁত ভালো থাকে। নিম পাউডার দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁত ও মাঁড়ি ভালো থাকে। নিম পাতার
নির্যাস পানিতে মিশিয়ে বা নিম দিয়ে মুখ আলতোভাবে ধুয়ে ফেললে দাঁতের আক্রমণ, দাঁতের পচন, রক্তপাত ও মাড়ির ব্যথা কমে যায়।
খোস-পাঁচড়া ও পুরনো ক্ষত
নিম পাতার সঙ্গে সামান্য কাঁচা
হলুদ পিষে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ আকারে ৭-১০ দিন ব্যবহার করলে খোস-পাঁচড়া ও
পুরনো ক্ষতের উপশম হয়। নিম পাতা ঘিয়ে ভেজে সেই ঘি ক্ষতে লাগালে ক্ষত অতি সত্বর
আরোগ্য হয়।
বমি
বমি আসতে থাকলে নিম পাতার রস ৫-৬
ফোঁটা দুধ দিয়ে খেলে উপশম হয়।