দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না
বোঝা আমাদের সবচাইতে বড় বাজে অভ্যাস। দাঁত আমাদের দেহ ও স্বাস্থ্যের জন্য কতোটা উপকারী
তা আমরা দাঁত হারাতে শুরু করলেই বুঝে থাকি। কিন্তু ততোক্ষণে অনেক বেশি দেরি হয়ে যায়।
তাই দাঁতের যত্নে সচেতন হওয়া উচিত আগে থেকেই। ছোট বড় সকলেরই গড়ে
তোলা উচিত দাঁতের যত্নে কিছু ভাল আভ্যাস।
১) প্রতিদিন সকালে ঘুম থেক উঠে এবং রাতে ঘুমানোর আগে টুথপেস্ট ও ব্রাশ দিয়ে
ওপর থেকে নিচে এবং নিচে থেকে ওপরের দিকে ভালো করে দাঁত ব্রাশ করে নিবেন এবং দাঁতের
ভিতর দিকেও ভালো করে মাজবেন।
২) যেসব জায়গা ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব নয় সেসব জায়গায় ডেন্টাল ফ্লস
ব্যবহার করবেন এবং মাড়ির সুরক্ষায় জিহবাও পরিষ্কার করে নিবেন।
৩) বিশেষ বিশেষ খাবার যেমন- পাঊরুটি, বিস্কুট, কেক, চকলেট-লজেন্স, আইসক্রিম
ইত্যাদি খাওয়ার পর খুব ভালো করে দাঁত পরিষ্কার করে নিবেন। তা না হলে ক্যাভিটি
হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৪) ফ্লোরাইড যুক্ত যে কোনো টুথপেস্ট দাঁতের জন্য বেশ উপকারী। দু-তিন মাস পর
পর টুথপেস্টের ব্র্যান্ড বদল করে নেওয়া ভাল, কারন বিভিন্ন পেস্টে বিভিন্ন ধরনের
উপাদান থাকে।
৫) কয়লা, গুল, টুথ পাউডার, ছাই, মাটি, গাছের ডাল ইত্যাদি ব্যবহার করা থেকে
বিরত থাকুন। এতে দাঁত ও দাঁতের মাড়ির সুরক্ষা হয় না।
৬) ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন। কারন এতে মুখ ও দাঁতের ক্যান্সার হওয়ার
সম্ভাবনা বেশি থাকে। এছাড়াও তামাক পাতা ও পান সুপারিও খাবেন না। এতে দাঁত ক্ষয় হয়ে
যায় বেশ দ্রুত।
৭) হাঁ করে ঘুমানোর অভ্যাস থাকলে তা দূর করতে হবে। কারন হাঁ
করে ঘুমানোর ফলে মুখ ও দাঁতের রোগ বেড়ে যায়।
৮) ঘুমানোর আগে কখনো বিস্কুট,
কেক, চকলেট – লজেন্স খাবেন না। কারন এগুলো সহজে দাঁতে আটকে যায়। আর খেলেও ভালো করে
দাঁত পরিষ্কার করে ফেলবেন। নতুবা দাঁতের ক্ষতি হয় অনেক বেশি।
৯) আঁশযুক্ত ও শক্ত খাবার যেমন-
গাজর, পেয়ারা, আমড়া, ইক্ষু, আনারস, নাশপাতি, আপেল, নারকেল ইত্যাদি দাঁত ও মাড়ি সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে। এগুলো চোয়ালের স্বাভাবিক গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
১০) ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দাঁত
ও মাড়ির জন্য অত্যন্ত উপকারী। লেবু, আমলকী, কমলা, টমেটো ও বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজিতে
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অন্যান্য ভিটামিন থাকে। তাই দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষায় খাদ্য
তালিকায় এই সকল খাবার রাখুন।
Source: Our Smart Lifestyle
0 comments:
Post a Comment