সুন্দর মুখশ্রীর
সাথে সাথে গলাকেও যে সুন্দর দেখানোর প্রয়োজন রয়েছে এ কথা অনেকেই মনে রাখেন না। তাই গলা ও ঘাড়ের পরিচর্চার বিষয়ে সচেতন হন না। যত্নের অভাবে অনেকেরই গলায় ভাঁজ, কুঁচকানো ও কালো দাগ এবং ঘাড়ের পিছনে
ব্রণ, একনে, র্যাশ ও ছোপ ছোপ কালো
দাগ দেখা যায়। এগুলো নিয়ে বিব্রত বোধ করেন। সুন্দর গয়না বা সাজই যেন বেমানান মনে হয় গলার ত্বকের এই সমস্যার
করনে। একটু সচেতন ও ধৈর্যসহকারে চেষ্টা করলে আপনিও হতে পারেন সুন্দর গলা বা গ্রীবার
আধিকারিণী –
১) দুই-চার চামচ বেসনের সাথে দু’টি সামন্ড, দুই চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, একটু
দুধ অথবা গোলাপ পানির সাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে পুরো গলায় লাগিয়ে রাখুন। ১৫ – ২০
মিনিট পর ঠান্ডা দুধ দিয়ে ম্যাসাজ করে প্যাক তুলে ফেলুন।
২) যদি দেখেন আপনার গলার ত্বকে ভাঁজ পড়ছে
তাহলে ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগিয়ে রাখুন সারা রাত।
৩) মুখে ব্রনের সমস্যা থাকলে এবং তা যদি গলা পর্যন্ত
বিস্তৃত হয় তাহলে ফেসিয়াল স্ক্র্যাব দিয়ে মুখ ও গলা ভালো করে ধোবেন। এ ক্ষেত্রে
কোনো ক্রিম লাগাবেন না।
৪) ৪০ বছরের বেশি বয়স হলে প্যাকের পরিবর্তে ময়েশ্চারাইজার
ব্যাবহার করতে পারেন। বেসন ও সুজি সমানুপাতে মিশিয়ে তাতে পুদিনা পাতা ও নিমপাতা
বাটা দিয়ে স্কিন টোনার বা অ্যাসট্রিনজেন্টের সাথে মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে গলায় লাফিয়ে
রাখুন। ১৫ – ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) মেকআপ করার সময় গলা ও ঘাড়ের মেকআপ মুখের ত্বকের সাথে
মিল রেখে করুন। সুন্দর ভাবে মিলিয়ে নিন যেন মুখের ত্বক থেকে গলার ত্বক আলাদা মনে
না হয়।
৬) মাসে ১ বার ফসিয়াল করান এবং ফেসিয়ালে ঘাড়-গলাও
অন্তর্ভুক্ত করুন। ফেসিয়াল ম্যাসজের উপকারিতা হচ্ছে ত্বকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক
রেখে ত্বককে প্রানবন্ত করে তোলে।
৭) অনেকেরই গলা ও ঘাড়ের ত্বক কালো থাকে। সে ক্ষেত্রে দুধ,
লেবুর রস, মধু ও চন্দন পাউডার একসাথে মিশিয়ে এসব জায়গায় নিয়মিত অর্থাৎ সপ্তাহে
অন্তত তিন দিন ম্যাসেজ করলে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
Source: Our Smart Lifestyle
0 comments:
Post a Comment