প্রতিটি মানুষ চায় নিজেকে সুন্দর করে
তুলতে, হোক না সে কালো, শ্যামলা, মোটা
কিংবা বেটে. আমি বলি এটা সম্ভব যদি আপনি নিজেকে জানতে পারেন. আপনার জন্য ফেসনেবল
কাপড়টি আসলে কিরকম হওয়া প্রয়োজন সেটা আগে জেনে নিন.
১. কাপড়ের রং নির্বাচন
করুন আপনার দৈর্ঘ্য, ত্বক এর রং এবং সময় ও কাল বুঝে, যেমন
সকাল, দিন, রাত এবং বর্ষা, রোদ্দুর
কিংবা শীতকাল.
আপনি যদি হউন শ্যামলা তাহলে কটকটে চোখে লাগে এমন রংগুলো
কিংবা বড় ছাপার গারো রংগুলো এড়িয়ে চলাই ভালো, রৌদ্রজ্জল দিনে হালকা
রংগুলো পড়ুন যেমন হালকা গোলাপী, ঘিয়া, হালকা
কলাপাতা সবুজ, আকাশী, শেওলা ইত্যাদি রংগুলোর
ছোট প্রিন্টের কিংবা সুতোর কাজের কাপড়গুলো যেমনি আরামদায়ক তেমনি মার্জিত. আপনি যদি
মার্কেটিং এবং সেলস এর কোনো কাজে নিযুক্ত থাকেন যেখানে অনেক বাইরের কাজে বেরুতে হয়
তাহলে সুতি stretchable কাপড় এর পেন্ট এর সাথে ফতুয়া কিংবা টপস, লং
শার্ট পড়তে পারেন. কম hieght এবং bulkiness এড়াতে পেন্ট এবং লম্বা
ফতুয়া try করে দেখতে পারেন.
২. শোরুমগুলোতে ডামিকে
পড়া পোশাকটি দেখে খুব ভালো লাগে বলেই চট হরে কিনে ফেলি, বাসায়
এসে যখন পড়ে দেখি রাত আর দিনের তফাতটি বোঝা যায়. ত্বক এর সাথে কিংবা height
এর
সাথে ড্রেসটি মানাবে কিনা তা বুঝতে হবে আপনাকেই. ফেশন ঋতুর সাথে, বছরের
সাথে নতুন ঢঙে বদলাবে এটাই ফেশনের ধর্ম. কিন্তু সেটার সাথে আপনি যখন নিজেকে বদলাতে
চাবেন তখন আপনার লক্ষ রাখতে হবে আপনাকে সেটা কতটুকু ভালো লাগছে. প্রয়োজন হলে আপনি
নিজের মতো করে সেটা তৈরী করে নিন যাতে ফিটনেস এর ক্ষেত্রে কোনো ছাট না দিতে হয়.
৩. সুন্দর ড্রেসটি
পরিধানের সময় লক্ষ রাখুন আপনার চুল এর স্টাইল এবং মেকাপ এর দিকে।
৪. আপনার সন্ধার ড্রেসটি
যদি হয় অনেক বেশি বিডস,স্টোন দিয়ে কারুকাজ করা তাহলে হালকা মেচিং করা অলংকার
পড়া উচিত. অলংকার আর ড্রেস দুটোকেই highlight করতে
চাইলে খুব junky দেখায়।
৫. পার্টির ধরন, কাজের
ক্ষেত্র, সময়, কাল ইত্যাদি অনেক বেশি
গুরুত্বপূর্ণ পোশাক নির্বাচন এর ক্ষেত্রে. তার সাথে সাথে বয়স, গরন, স্বাস্থ্য
ইত্যাদিও খেয়াল রাখতে হবে।
৬. আপনার অনেক সুন্দর
ড্রেসটি কিংবা সাজটি মলিন হয়ে যেতে পারে আপনার অসামঞ্জস্য জুতো কিংবা ব্যাগ এর
কারণে। এদিকটা সবসময় লক্ষ রাখা উচিত।
৭. স্লিভলেস কিংবা transparent
স্লিভের
এর পোশাকের ক্ষেত্রে আপনার bulkiness টা যদি আপনার
বেক্তিত্বের অন্তরায় হয়ে দাড়ায় তাহলে সেটা এড়িয়ে চলাই ভালো। নতুবা চুরিদার
ট্রান্সপারেন্ট fitted বা থ্রি কোটার স্লিভ পড়তে পারেন।
৮. মোটা কাপড় এর পোশাক
মোটা মানুষকে আরো মোটা দেখায়, তেমনি গারো রং এর বড়
ছাপা কাপড়ও শরীরকে আরো প্রশস্ত দেখায়।
৯. চুরিদার বা fitted
পাজামা
স্লিম ফিগার এর জন্য মানানসই, তেমনি ভারী ফিগারের
মেয়েরা যদি fitted পাজামা পড়তে চান তাহলে পাজামার কাপড়টি ই পেন্ট এর মতো
করে বানিয়ে নিন।
১০. Fitted
কামিজ
কিংবা শর্ট কামিজ স্লিম ফিগারে ভালো লাগে, তবে বাল্কি ফিগারের
জন্য ডার্ট ইউজ করে fitted পোশাক তৈরী করে নিতে পারেন।
Source: Our Smart Lifestyle
0 comments:
Post a Comment