সরিষা বাটা, মরিচ গুঁড়া, লবণ
আর একটু চিনি দিয়ে তৈরি আমড়া মাখা দেখলে কার না জিভে পানি আসে? আর এটা খেতে যেন অমৃত।
সবাই এব্যাপারে একমত না হলেও অনেকেই এটা স্বীকার করবেন। আমড়া খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি
স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর।
আমড়ায় আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন
সি। এছাড়াও অন্যান্য নানান খাদ্য উপাদান আমড়াতে বর্তমান। প্রতি ১০০ গ্রাম আমড়ার মধ্যে
আছে, ৯১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, খাদ্যশক্তি ৬৬ কিলোক্যালরি, ক্যালসিয়াম ৫৫ মিলিগ্রাম,
লৌহ ৩ দশমিক মিলিগ্রাম, শর্করা ১৫ গ্রাম। এছাড়াও ক্যারোটিন, ভিটামিন বি-১, ভিটামিন
বি-২, আমিষ থায়ামিন ইত্যাদি আমড়ার মধ্যে বিদ্যমান।
আমড়াতে যে পরিমাণ খাদ্য উপাদান
আছে তা নানাভাবে আমাদের শরীরের উপকার সাধন করে। এতে আছে ভিটামিন সি, যা ত্বকের রোগ
প্রতিরোধ করে। ত্বক ও চুলকে সুন্দর করে তোলে। এছাড়া দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ
করে থাকে এই ভিটামিন সি। ভিটামিন সি রক্ত জমাট বাধতেও সাহায্য করে। আমড়াতে আছে প্রচুর
আঁশ যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। আমড়া খেলে পাকস্থলী সুস্থ্য থাকে। আমড়া মুখের আরুচি দূর
করে। রক্তের ক্ষতিকর উপাদান কোলেষ্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে ষ্ট্রোক ও হার্টের রোগ অনেকাংশে
কমে যায়। আমড়াতে আছে অ্যান্টিওক্সিডেন্ট যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। এটি পিত্ত
ও কফনাশক। এমনিভাবে নানা দিক থেকে আমড়া আমাদের জন্য ভীষণ উপকারী।
আমড়া খাওয়া যায় কাঁচা ও রান্না
করে। কাঁচা আমড়া সরিষা বাটা, মরিচ গুড়া, গোল মরিচের গুঁড়া, লবণ ইত্যাদি দিয়ে মাখিয়ে
খাওয়া যায়। রান্নাও হয় অনেক রকম। সবচেয়ে মজাদার রান্না হচ্ছে আমড়ার খাট্রা। নারিকেল
দুধ দিয়ে আমড়ার খাট্রা খেতে অসাধারন লাগে। আবার কাঁচ কলা, চিংড়ি মাছ ও আমড়ার দিয়ে রান্না
করা যায় তরকারী, যা শরীরের জন্য উপকারী আর মজাদারও বটে। এছাড়া এটি চাটনি করেও খাওয়া
যায়। ডিম ও আমড়া রান্না খেতেও দারুণ। এভাবে যার যেমন রুচি সে তেমন ভাবে আমড়া খেতে পারেন।
তবে খাদ্যমান পুরোপুরি পেতে হলে কাঁচা খাওয়া সবচেয়ে ভাল।
Source: Our Smart Lifestyle
0 comments:
Post a Comment