আমরা কেন ধনে পাতা খাবো ?

ধনে পাতার সালাদ, ভর্তা, জুসের সাথে আমরা সবাই কম বেশি পরিচিত সবজির স্বাদ বাড়াতে সারা বছরই ধনেপাতা বাজারে পাওয়া যায় তবে শীত কালে এর আধিক্য থাকে বেশি আসুন আজ জেনে নিই, গুনে ভরা উপকারী ও স্বাদবর্ধক ধনেপাতার কিছু অসাধারন গুনের কথা

) ধনেপাতায় পাওয়া যায় ভিটামিন এ, সি ও ফলিক এ্যাসিড ফলিক এ্যাসিড ত্বক ও চুলের ক্ষয় রোধ করে মুখের ভিতরের নরম অংশগুলোকে রক্ষা করে ক্যান্সার থেকে ধনেপাতার ভিটামিন এ রাতকানা রোগ নিরাময়ে ভূমিকা রাখে

) আমাদের শরীরে এলডিএল নামের একটি ক্ষতিকর কোলেস্ট্ররেল আছে এই কোলেস্টরেল শিরা উপশিরায় দেয়াল সৃষ্টি করে হার্টের রক্ত চলাচলে বাঁধা দেয় ফলে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশাংকা থাকে ধনেপাতা ক্ষতিকর কোলেস্টরেল কমিয়ে উপকারী এইচডিএলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। রক্ত পরিষ্কার রাখে।

৩) ধনেপাতায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’। এই ভিটামিন ‘কে’ হাড় ও দাঁতকে মজবুত করে ক্ষত স্থান দ্রুত সারিয়ে তোলে। ধনেপাতায় রয়েছে আলজিমারস নামের একটি উপাদান, যা মস্তিকের রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে। নিয়মিত ধনেপাতা খেলে শিতকালিন ঠোঁট – ত্বক ফাটা, জ্বরজ্বর ভাব থেকে রক্ষা করে। দেহের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া দমনেও ধনেপাতা খুবই উপকারী। এছাড়াও –

হজমে সাহায্য করে ও পাকস্থলীর প্রদাহ রোধ করে।
বাত থেকে মুক্ত রাখে।
মুত্রথলির প্রদাহ রোধ করে।
অন্ত্রের গ্যাস সৃষ্টি থেকে মুক্ত রাখে।
রক্তে লৌহের কতই ভাল উৎস।
ম্যাগনেসিয়ামের চাহিদা পূরণ করে।
ধনেপাতা শরীরকে ঠান্ডা করে। এলার্জি, আমবাত, ফোঁড়া ও তীব্র চুলকানি হলে ধনেপাতা পেস্ট করে লাগালে ভাল কাজ করে।
যে সকল নারী খুব বেশি মাসিক প্রবাহে ভোগেন তাদেরও জন্যও এটি ভাল কাজ দেবে।

0 comments: