এক গ্লাস পানি আপনার জীবনে কি উপকার করতে পারে ?

আমরা প্রতিদিন প্রচুর পরিমান পানি পান করি । কিন্তু এই পানি আমাদের শরীরের কতটুকু উপকার করে তা কখন কি ভেবে দেখেছি ? আসুন জেনে নিই এক গ্লাস পানি আমাদের শরিরের কতটুকু উপকার করে ।

১) এক গ্লাস পানি ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে যদি আপনি পান করেন, তাহলে শরিরের সমস্ত অংগ – প্রত্যংগ সক্রিয় হয়ে যায় ।

২) এক গ্লাস পানি যদি আপনি খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টা আগে পান করেন, তাহলে এই পানি খাবার হজমে সাহায্য করবে বেশি ।

৩) এক গ্লাস পানি গোসলের আগ মূহুর্তে আপনি পান করলে এটা আপনাকে উচ্চ রক্তচাপ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে ।

৪) এক গ্লাস পানি ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি পান করেন, তবে এটা আপনাকে heart –এর রোগ এবং হার্ট অ্যাটাক থেকে বাঁচাতে সাহায্য করবে।


কিভাবে অল্প সময়ে অন্তত ৫ কেজি ওজন কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার আর সৌন্দর্য পেতে পারেন?

আসলে এতো অল্প সময়ে ৫ কেজি ওজন কমানো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে । প্রতি সপ্তাহে ১ পাঊন্ড ওজন কমানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা । আর এজন্য প্রতিদিন খাদ্য থেকে যে পরিমান ক্যালোরি গ্রহন করি তার থেকে কমপক্ষে ৫০০ ক্যালোরি কমাতে হয় । আপনারা বিভিন্ন সময়ে ওজন কমানোর অনেক টিপস পান। তবে আমি বলি খাবারের মাধ্যমে আপনার ওজন কমায়ে আনুন, আর এজন্যই আপনার সারাদিনের খাবার ৫ ভাগে ভাগ করে খান । কিন্তু এটা অনেকেই বুঝতে পারেন না যে কখন কি খাবার কতটুকু পরিমানে খেতে হবে। আর তাই আজ আপনাদের জন্য ডায়েট করার সময়ের খাবারের তালিকা দিচ্ছিঃ

সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট
হালকা গরম পানিতে ১ চামচ মধু এবং ১ টুকরো লেবুর রস দিয়ে খান ।

সকালের নাস্তা - সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট
রুটি – ২ টি, সবজি, দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ চা বা কফি ।

সকাল ১১ টা
গ্রিন টি ১ কাপ ও ১ পিস বিস্কুট।

দুপুর ১২ টা
শশা বা গাজরের জুস – ১ গ্লাস ।

দুপুরের খাবার
ভাত ১ কাপ, সবজি, মাছ ১ পিস, সালাদ, ডাল ।

বিকাল ৪ টা
কলা, কমলা, আপেল, আম, আমড়া যে কোনো ১ টি।

বিকাল ৫ টা ৩০ মিনিট
গ্রিন টি – ১ কাপ, পাঊরুটি ১ পিস বা বিস্কুট ২ পিস ।

রাতের খাবার – রাত ৮ টা ৩০ মিনিট
ভাত ১ কাপ বা রুটি ৩ পিস সাথে শাক বা সবজি এবং মাছ।

আপনাদের অনেকেরই অভ্যাস আছে রাতে খাবার খাওয়ার পর ও টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করেন । তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে ।

টিপস নিয়মিত এই খাবারের রুটিন মেনে চললে আর সপ্তাহে ৫ দিন ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট ব্যায়াম করলে শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ঝরঝরে ফিগার পেতে খুব বেশি দিন অপেক্ষা করতে হবে না ।


খাওয়ার পরে যে ৭ টি কাজ করা যাবে না

পানি মানে জীবন ঠিকই তবে খাওয়া হলো জীবনী শক্তি অনেকে ভাল খাওয়া নিয়ে ব্যাতিব্যাস্ত আবার অনেকে যা পান তাই খান সে যে যাই খান, খাওয়ার পরে হামেশাই যে ভূল গুলো করেন তা পাল্টাতে না পারলে বিপদ সামনে না জানলে জেনে নিন কোন সে ভূল গুলো যা আপনি দিনের পর দিন করে যাচ্ছেন

) খাওয়ার পরই সুখটানঃ খেয়ে উঠে ধুমপান না করলে চলে? যদি না চলে তবে এবার চালান খাওয়ার পর একটি সিগারেট আপনার শকরিরে ১০ টি সিগারেটের সমান ক্ষতি করে কারন খাদ্য গ্রহনের পর শরির জুড়ে পচন ক্রিয়া শুরু হয় সে সময় সিগারেটের সাথে ক্ষতিকারক নিকোটিন সারা শরিরে ছড়িয়ে পরে নিমিষে

) ভরা পেটে ফলঃ পুরনো প্রবাদখালি পেটে জল ভরা পেটে ফল কথাটি ঠিক তবে মানেটা একটু বুঝতে হবে খাওয়ার পরই এক কাঁড়ি ফল নিয়ে বসলে মুশকিল ফল খুব তাড়াতাড়ি হজম হয় কিন্তু খাওয়ার পর খেলে সেই ফলই দীর্ঘ ক্ষন পেটে থেকে যায় তা নষ্ট হয়ে গ্যাস ও ক্ষতিকারক টক্সিন ছাড়ে তাই ফল খান, খাওয়ার অন্তত ২ ঘন্টা পর

) খেয়ে উঠে চাঃ খেয়ে উঠে চায়ের কাপে আমেজের চুমুক, এই অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করুন এখুনি চায়ে ক্যাফেন থাকে, যা শরিরে হজম প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে অ্যানিমিয়া রুগিদের পক্ষে এটা মারাত্বক খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘন্টা পার না হলে চায়ে চুমুক দেওয়ার কথা ভাববেন না

) গোসল করা বা সাঁতার কাটাঃ খাওয়ার পর গোসল করা বা সাঁতার কাটার অভ্যাস ভীষন খারাপ অভ্যাস খাওয়ার পর শরিরের সমস্ত রক্ত পাকস্থলি মুখি হয় কিন্তু গোসল করলে বা সাঁতার কাটলে শরিরের তাপমাত্রা হঠাত পরিবর্তন হয় ফলে রক্ত আবার শরিরের সব অংশে পৌছাতে চেষ্টা করে ফলে হজম শক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দীর্ঘ দিন এই অভ্যাস থাকলে হজম শক্তি নষ্টও হয়ে যেতে পারে

) কোমর দোলাবেন নাঃ খেয়ে উঠেই অনেকে কোমরের ব্যায়াম শুরু করেন ভাবেন এতে মেদ জমতে পারে না ভাবনা বদলান খাওয়ার পর কোমরের ব্যায়ামে ওজন বাড়বে বৈ কমবেনা উপরন্ত, এতে আপনার বৃহদ্রান্ত বেড়ে যেতে পারে, যাতে ভবিষ্যতে হজম শক্তি নিজেই হজম হয়ে যাবে

) কসরত বন্ধঃ আফটার ডিনার ওয়াক হাফ মাইল হাটুন, তবে দৌড়াবেন না খাওয়ার পর হনহন করে হাঁটলে খাদ্যগুন শরিরে ঢোকার আগেই বেরিয়ে যাবে ফলে এখানে শম্বুক গতি আপনার উপকারে লাগবে

) ঘুমের দেশে যান একটু পরেঃ খাওয়ার পরই একটা লম্বা হাই তারপর ই বিছানা আদর করে ডাকছে আর আপনি ও গিয়ে তার কোলে আশ্রায় নিলেন এমন অ্যাভাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন ঘুমানো তো দূরে থাক, খেয়ে উঠে শোয়াও খুব খারাপ কাজ না হলে ভবিষ্যতে পাকস্থলি সমস্যায় ভুগতে হতে পারে

আশা করি, খাওয়ার পর যাদের এই অভ্যাস গুলো আছে, তারা অতিদ্রুত এই অভ্যাস গুলো পরিবর্তন করবেন এবং সুস্থ থাকবেন

৫ ধরনের পানীয় দিয়ে আপনার ওজন কমাতে পারেন

যদি আপনি ওজন কমাতে চান, তাহলে ওজন বৃদ্ধি করবে না এমন ৫ ধরনের পানীয়ের বর্ণনা দেওয়া হলোঃ

) পানিঃ পানি হচ্ছে ওজন কমানোর সবচেয়ে ভালো উপাদান যদি সাধারণভাবে খেতে বিরক্তিবোধ করেন, তাহলে পানির সাথে লেবু, শশা এমনকি টমেটো যোগ করতে পারেন তাতে বেশি ক্যালরি যোগ হবে না আবার একটি আলাদা ফ্লেভার পাবেন

) তরকারির জুসঃ ওজন কম রাখার জন্য তরকারির জুস খুবই ভালো একটি উপায় এ জুসে একদিকে যেমন আঁশ থাকে, অন্যদিকে উল্লেখযোগ্য পরিমান পুষ্টি থাকে এ উপাদান গুলো শরীরের জ্বালানি হিসাবে গুরুত্বপূর্ন এতে কম পরিমান সোডিয়াম পাবেন, যা আপনার জন্য উপকারি এ ধরনের জুস আপনার মাঝে অন্যরকম সজীবতা নিয়ে আসবে, যা আপনাকে খুশি রাখতে সাহায্য করবে

) চিনিমুক্ত চাঃ সবুজ চা দেহের মাঝে সজীব পরিবর্তন আনায়নে সাহায্য করে এবং শরিরকে দ্রুত চাঙ্গা করে চেষ্টা করুন এটি যেন গরম বা ঠান্ডা হয় এবং এতে যেন অল্প পরিমান  চিনি বিশিষ্ট মধু থাকে রং চা-এর কথা ভূলবেন না কারন এতে অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আপনার শরিরকে নির্বিষকরণে সাহায্য করে

) কালো কফিঃ সকালে এক কাপ উষ্ণ কফি বা বিকালে এক কাপ ঠান্ডা কফি যেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে, তেমনই শরিরে উদ্দীপনা আনে এ কফিতে এক ধরনের ক্যাফেইন রয়েছে, যা ক্ষুধা কমিয়ে রাখে আবার স্নায়ু সচল রাখতে সাহায্য করে তবে খেয়াল রাখবেন কফিতে যেন সর তোলা দুধ এবং অল্প পরিমান চিনি থাকে 

) সর তোলা দুধঃ দুধ হচ্ছে অল্প পরিমান প্রোটিন, ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের চমৎকার ঊৎস। যা আপনার মাংসপেশিকে ঊন্নত করবে এবং হাড়কে মজবুত করবে। যারা খাওয়ার সময় চর্বি কম পরিমানে পছন্দ করেন, তাদের জন্য সর তোলা দুধ খুবই কার্যকর। যারা চর্বিকে প্রশ্রয় দিতে চান, তারা সর তোলা দুধের সাথে অল্প পরিমান চকোলেট যোগ করতে পারেন। কম চর্বিবিশিষ্ট চকোলেট দুধ কাজ-পরবতী সকময়ে মাংসপেশি পুনর্গঠনে ভূমিকা রাখে।