চুলের ক্ষতি এড়াতে কি করবেন ?

কোঁকড়া চুলকে যেমন সিল্কি করে তোলা যায়, তেমনি হেয়ার জেল, স্প্রে, রোলার ইত্যাদি ব্যবহার করে সিল্কি চুলকেও কোকড়ায় রূপান্তরিত করা যায়। চুল খুব বেশি কোঁকড়া না হলে, অর্থাৎ ঢেউ খেলানো হলে আয়রনিং- এর মাধ্যমে চুল সাময়িক ভাবে সোজা করা যায়। তবে সমস্যা হচ্ছে আয়রনের তাপ মাত্রায় চুলের সব ময়েশ্চার চলে যায়। ফলে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ ও ভঙ্গুর। নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্য অনেকে বদলে ফেলেন চুলের রঙও। বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থে তৈরি এসব হেয়ার কালার চুলকে সুন্দর করে শুধু বাহ্যিকভাবে, ভিতরে ভিতরে ক্ষতি করে ভীষণ।

চুলের প্রাকৃতিক ধরণ কৃতিম উপায়ে বদলে ফেললে যতই সুন্দর দেখাক না কেন, তা আপনার চুলকে করে ক্ষতিগ্রস্ত। কখনো কখনো এই সাময়িক সৌন্দর্য আপনার চুলের স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। তাই চুল নিয়ে যাই করুন না কেন, চুলের ক্ষতি এড়াতে মেনে চলুন কিছু বিষয়

১) চুলকে নরম ও চকচকে রাখতে সাহায্য করে কিঊটিকল। এই প্রোটিনের আস্তর চুলের ওপরে মাছের আঁশের মতো স্তরে স্তরে থাকে। এই আস্তর সমান্তরাল থাকে, চুলে হালকা দোলা লাগলেই এই আস্তরণ ফুলে উঠে এবং চুল চকচক করে উঠে। হেয়ার কালারের প্রথম কাজ হলো অ্যামোনিইয়ার মাধ্যমে এই আস্তরের ওঠানামা বন্ধ করা যাতে চুলের একেবারে গোড়া পর্যন্ত রং পৌঁছায়। অ্যামোনিয়ার কারনে চুলের কিউটিকল নষ্ট হয়ে যায়। ফলে চুল নিস্তেজ হয়ে পড়ে এবং উজ্জলতা হারায়। তাই যতটা সম্ভব কম হেয়ার কালার ব্যবহার করুন।

২) ব্লো ড্রয়ার বা হিটের ব্যবহার চুল থেকে প্রোটিন বের করে দেয়। ফলে চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ। এমনকি চুল শুকানোর জন্য মাথায় তোয়ালে জড়িয়ে রাখলেও চুলের প্রাকৃতিক সুরক্ষা বা কিউটিকল সহজে ঝরে পড়ে। ফলে চুল চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই চুল স্বাভাবিক ভাবে শুকানোর চেষ্টা করুন।

৩) অনেকে চুলে শাইনি এফেক্টের জন্য সেরাম বা শাইন স্প্রে ব্যবহার করেন। এতে রয়েছে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যা চুলকে ভঙ্গুর করে তোলে। এছাড়া এসব জিনিস অতিরিক্ত ব্যবহারে চুল চিটচিটে হয়ে পড়ে।

৪) অতিরিক্ত স্টাইলিং বা বার বার চুলকে কোকড়া-সোজা করতে থাকলে চুল তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারায়। চুলের কিউটিকলও খুব ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর চুলে ভালো কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।

৫) ড্যামেজড চুলে স্টাইল করলে তা আরও ক্ষতির কারন হতে পারে। তাই আগে চুলের যত্ন নিন, তারপর অন্য কিছু করার কথা ভাবুন।

৬) চুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অন্যতম কারন হলো চুল এলোমেলো হয়ে জড়িয়ে যাওয়া। ঘুমের সময় চুল হালকা করে বেঁধে ঘুমান। চুল বেঁধে ঘুমাতে অস্বস্তি লাগলে সিল্ক বা স্যাটিনের তৈরি নরম, মসৃণ বালিশে ঘুমান। এতে চুলে বেশি ঘষা লাগবে না।

0 comments: